প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা নিয়ে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার আশার কথা জানিয়েছে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান ফাইজার। সোমবার তারা জানিয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন নিরাপদ। এটি স্বাস্থ্যবান মানুষের মধ্যে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় বলে পরীক্ষমূলক প্রয়োগে ফল পাওয়া গেছে।
৬০ জনের ওপর চালানো ওই পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন তাদের শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং এটি রক্তে শ্বেতকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে, যা করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। খবর লাইভ মিন্টের
বায়োএনটেক বলছে, ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট ফাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। ভ্যাকসিনটির নাম দেওয়া হয়েছে বিএনটি১৬২। বর্তমানে বিশ্বে মানব পরীক্ষা হচ্ছে। তবে চূড়ান্তভাবে করোনার একটি ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য কমপক্ষে এক বছর থেকে দড় বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক সিএইচএডিওএক্স১ এনকোভ-১৯ নামের একটি করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। যা বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের তৈরি এটিই প্রথম ভ্যাকসিন। করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এই মুহূর্তে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি গবেষক দল কাজ করছেন। এর মধ্যে ২৩টি ভ্যাকসিন নিয়ে ইতোমধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও চালিয়েছে। গত মাসে প্রথমবারের মতো মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালান যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বিজ্ঞানীরা। চীনেও একটি ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কভিড-১৯। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ জনে। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৯ লাখ ৬ হাজার ৬৯০ জন।